এবার সংসদে অযোগ্য হলেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেন।
এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি প্রতিষ্ঠানে তার কাজ করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নির্বাচনে নমিনেশন পাওয়ার কাগজপত্রে বৈদেশিক চাকরি ও বেতনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ না দেয়ায় খাজা আসিফের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দেয় ইমরান খানের তৈহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি। পিটিআই এর নেতা ওসমান ধরের দাখিলকৃত অভিযোগটি এ মাসের শুরুতে আমলে নেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটিতে পূর্ণকালীন কাজ করতেন না, প্রতিষ্ঠানটির প্রেরিত এমন একটি চিঠি আদালতে দাখিল করেন খাজা আসিফ।
পাকিস্তান সংবিধানের ধারা ৬২(১) (এফ) অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো ব্যক্তিকে ‘সাদিক ও আমিন’ (সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ) হতে হবে। একই ধারায় গত ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা জাহাঙ্গীর তারিনকে অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের হাইকোর্ট। এবার এ তালিকায় যোগ হলেন খাজা আসিফ।
খাজা আসিফ ১৯৯১ সালের পর নির্বাচনে শিয়ালকোট আসন থেকে টানা পাশ করে আসছেন। ২০১৭ সালে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য পাকিস্তানের নির্বাচনে থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।