জাপানের ১১০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে ৪৭টিকে সক্রিয় বলে ধরা হয়ে থাকে। এগুলো ১০ হাজার বছর ধরে সক্রিয় অথবা গ্যাস নির্গমন করে আসছে। জাপানের ইতিহাস বলছে প্রতি ৩৮ বছরের মধ্যে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে থাকে। ১৫টি আগ্নেয়গিরি প্রতিবছরই অগ্ন্যুৎপাত ঘটাচ্ছে।
এদিকে, তোহোকু অঞ্চলের ভূমিকম্পের সময় মাটির স্তর সরে গেছে অনেকখানি। জাপানে এ নিয়ে আপাতত চিন্তা বাড়ছে।এই ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক ছিল ১১০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, তার মধ্যে ২০টি নড়েচড়ে ওঠে। এসব আগ্নেয়গিরি ‘সিসমিক অ্যাকটিভিটি’ বলে দেয় আসন্ন বিপদের কথা। ভূমিকম্পের সময় জিএমএ বা জাপান মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এই সক্রিয়তা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে।
জাপানের সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ফুজি যার উচ্চতা ১২ হাজার ৩৮০ ফুট। ভূমিকম্পের সময় এর সাড়া দেওয়ার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিশেষজ্ঞদের। টোকিও শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মাউন্ট ফুজির অগ্ন্যুৎপাতে পুরো টোকিও শহর ছাইয়ের নিচে চাপা পড়তে পারে।
সমীক্ষা বলছে মাউন্ট ফুজির ম্যাগমা চেম্বারের চাপ বেড়ে উদ্বেগজনক ১.৬ মেগাপ্যাসকালে দাঁড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, শেষবার অগ্ন্যুৎপাতের সময় ম্যাগমা চেম্বারের চাপ এর চাইতে কম ছিলো।