সাংবাদিকরা মিয়ানমার সরকারের প্রবল চাপের কারণে রোহিঙ্গা সংকটকে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে পারছেন না বলে বুধবার জার্মানিতে এক কনফারেন্সে জানিয়েছেন তুরস্কের আনাদলু বার্তা সংস্থার আন্তর্জাতিক বিষয়ের এডিটর ইন চীফ।
জার্মানিতে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট ও সমাধান’ শীর্ষক এ কনফারেন্সে আনাদলুর মেহমুত ওযুর্ক বলেন, গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার রাখাইন অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া অনেক জরুরী সাংবাদিকদের জন্য।
কিন্তু এ অঞ্চলে যাওয়ার অনুমতি মেলা খুবই কঠিনতর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুমতি মেলে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, রাখাইনে প্রবেশ করতে না পারার কারণে সেখানকার বিষয়ে বস্তুগত ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ সংগ্রহ খুব কঠিন হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর।
দেশটিতে যেতে বিদেশি সংবাদ প্রতিনিধিদের ভিসাই দিতে চায় না মিয়ানমার সরকার। এছাড়া নিরাপত্তা ঘাটতির আশঙ্কায় অনেক সতর্ক থাকতে হয় স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরও।
মেসুত বলেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রোহিঙ্গাদের করুণ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানলেও তারা সেটি প্রচার করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সংবাদ প্রচার করছে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থী রোহিঙ্গাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত নয় হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো অভিযান ও স্থানীয় উগ্রবাদী বৌদ্ধদের অত্যাচারে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে বাংলাদেশের সাথে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনের কাজ শুরু করলেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কালক্ষেপণ ও চাতুরির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।