logo
আপডেট : 3 May, 2018 12:05
আইএলও প্রতিবেদন
উন্নয়নশীল দেশে ৭০ কোটি শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে
ঢাকা অফিস

উন্নয়নশীল দেশে ৭০ কোটি শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে

উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ৭০ কোটিরও বেশি শ্রমিক এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। শুধু এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সাল নাগাদ দারিদ্রসীমার নিচে শ্রমিক হবে ৩০ কোটি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের হিসাবে এসব শ্রমিক এখনো দৈনিক আয় ৩ দশমিক ১০ ডলারের ওপরে আনতে পারেনি। আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, শ্রমিকদের আয় ও কাজের সুন্দর পরিবেশ-দুই ক্ষেত্রেই অগ্রগতি অনেক শ্লথ। উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্রমবর্ধমান শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। 

সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। এতে বেকারত্বের হারও কমে আসছে। গত তিন বছর বৃদ্ধির পর ২০১৭-১৯ সময়ে বেকারত্বের হার কমবে বলে আশা করা যায়। আইএলওর হিসাব অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ছয় কোটি ৭০ লাখ তরুণ-তরুণী এখনো বেকার। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লাখ যুব শ্রমিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।

এ বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে রাইডার বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নতুন করে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বয়ংক্রিয় ও ডিজিটাল প্রযুক্তি। এ সমস্যার সমাধানে উদ্ভাবন প্রয়োজন। তিনি বলেন, এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০১৯ সাল নাগাদ দারিদ্রসীমার নিচে থাকা শ্রমিকের সংখ্যা হবে ৩০ কোটি। রাইডার বলেন, নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বৈশ্বিক বাণিজ্য থেকে উন্নত, উদীয়মান ও উন্নয়শীল সব অঞ্চলের শ্রমিকরাই সমানভাবে সুবিধা পাচ্ছে। তা নিশ্চিত করতে না পারলে সব দেশকেই আর্থিক লোকসানের পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে থাকতে হবে।

আইএলওর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে কর্মসংশ্লিষ্ট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। বিশ্বে বছরে কর্মসংশ্লিষ্ট প্রাণহানি ঘটছে ২৩ লাখ। এর মধ্যে ১৪ লাখ ঘটছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে।

আইএলও জানায়, কর্মসংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ মৃত্যু এবং সাধারণ দুর্ঘটনার বেশির ভাগই ঘটে কম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বে পেশাগত ঝুঁকি আগের চেয়ে বেড়েছে। অনেক দেশে মৃত্যুর এসব ঘটনা পুরোপুরি প্রকাশ হয় না। এমনকি কোনো দেশই তাদের কর্মসংশ্লিষ্ট মৃত্যুর শতভাগ প্রকাশ করে না।