
সাগরতলে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ বিমানের খোঁজ করতে গিয়ে জাহাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় সাগরের তলদেশে পাওয়া গেছে দুটি জাহাজ, যেগুলো উনিশ শতকে ডুবে গিয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
বিবিসি জানায়, চার বছর আগে নিখোঁজ ওই বিমানের খোঁজে মালয়েশিয়া ও চীন যৌথ অভিযানে নামে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজ দুটির ধ্বংসাবাশেষ পাওয়া যায়।
তবে এতদিন তা প্রকাশ করা হয়নি। সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের একটি দল বৃহস্পতিবার জাহাজ দুটি শনাক্ত করার সম্ভাব্য আলামতগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র গবেষকরা সোনার প্রযুক্তির মাধ্যমে নেয়া জাহাজের ছবি এবং জাহাজ চলাচলের পুরনো তথ্য ব্যবহার করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেইফটি ব্যুরোর (এটিএসবি) অনুরোধে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়াম আন্তর্জাতিক দুই জাহাজ থেকে পাওয়া সোনার ও ভিডিও ডাটাগুলো বিশ্লেষণ করে।
এ কাজে নেতৃত্ব দেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া মিউজিয়ামের মেরিটাইম আর্কিওলজির কিউরেটর রস অ্যান্ডারসন।
তিনি বলেন, ১৮৮৩ সালে হারিয়ে যাওয়া দ্য ওয়েস্ট রিজ, ১৮৯৪ সালের কোরিংগা ও ১৮৯৭ সালের লেক অন্টারিও জাহাজগুলোর যে কোনো দুটি হতে পারে।
সাগরের নিচে তিন হাজার ৭০০ মিটারেরও বেশি গভীরে পাওয়া লোহার জাহাজটির সঙ্গে ২৮ জন নাবিক নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে ভারত যাওয়ার পথে ‘হারিয়ে’ যাওয়া দ্য ওয়েস্ট রিজের সবচেয়ে বেশি মিল দেখতে পান তিনি।
কাঠের তৈরি অপর জাহাজটি ১৮৭৭ সালে ১০ জন নাবিক নিয়ে স্কটল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার পথে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ডব্লিউ গর্ডন অথবা ১৮৮২ সালে ওয়েলস থেকে ইন্দোনেশিয়ার পথে হারিয়ে যাওয়া ম্যাগডালা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংগামী এমএইচ৩৭০ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়।
২০১৫ সালের জুলাইয়ে ভারত মহাসাগরের চার হাজার কিলোমিটার দূরে রিইউনিয়ন দ্বীপের সৈকতে বিমানের ডানার একটি অংশ পাওয়া যায়।
১০৪৬ দিনের নিষ্ফল অভিযানের পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এমএইচ৩৭০ খোঁজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।