নায়োকোচিত বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মালেশিয়ার কিংবদন্তী ড. মাহাথির মোহাম্মদ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে রয়াল প্যালেসে রাজা সুলতান মোহাম্ম্দ ভি শপথ সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
বুধবার দেশটির ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের জোট পাতাকান হারপান। ক্ষমতাসীন জোট বারিসান ন্যাশনাল (বিএন)-কে ৬০ বছর পর পরাজিত করে কোনো দল।
পার্লামেন্টে ২২২টি আসনের মধ্যে হারপান পেয়েছে ১২৩ আসন। যেখানে সরকার গঠন করতে ১১২টি আসনের প্রয়োজন। বিপরীতে বিএন জোট পেয়েছে ৭৬টি আসন।
মাহাথিরের এ জয় নানা কারণেই অবিস্মরণীয়। যে বারিসান ন্যাশনাল জোটকে হারিয়ে তিনি এ নির্বাচনে জয়ী হলেন, এক সময় এই জোট থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মাহাথির।
দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে মাহাথির উজ্জ্বল এক নাম। তার হাত ধরেই আধুনিক মালয়েশিয়ার গোড়াপত্তন হয়। কিন্তু ৯২ বছর বয়সে রাজনীতিতে নেমে ৬০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা একটি জোটকে পরাজিত করা মোটেও সহজ ছিল না।
মালয়েশিয়ার ১৪তম এ সাধারণ নির্বাচনকে গড়পড়তা হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। নির্বাচনে নাজিব রাজাকের বিজয়ও নিশ্চিত দেখতে পাচ্ছিলেন সবাই।
কিন্তু মাহাথির নির্বাচনে নামার ঘোষণা দেওয়ার পরই পাল্টে যেতে থাকে ভোটের হিসাব। নির্বাচনী মাঠে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
তারপরও ‘বুড়ো’ মাহাথিরকে নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। কিন্তু মাহাথির তাদের ভুল প্রমাণ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় মাহাথির বারবার বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ানরা পরিবর্তনে ভয় পায়।’