আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিম জং উন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক হবে। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে একথা জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, দুই নেতাই চেষ্টা করবেন যেন ওই বৈঠকটি বিশ্বশান্তির জন্য একটা অনন্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
শীর্ষ বৈঠকটির লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির একটা সম্ভাব্য সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা করা।
গত বুধবার উত্তর কোরিয়ায় আটক তিন মার্কিন বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে দেশটির এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আর মার্কিন বন্দীদের মুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প।
উত্তর কোরিয়ার হাতে আটক থাকা তিন মার্কিন নাগরিকের মুক্তির কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্পের দিক থেকে এ ঘোষণা এলো।
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ করার এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও স্থগিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন এর জন্য উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপকেই বার বার কৃতিত্ব দিয়েছে।
তবে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের প্রশাসন এখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ নিবদ্ধ করছে বলেই তাদের অবস্থানের এ পরিবর্তন।
কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া একে অপরের সঙ্গে পারমাণবিক সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত বছর জাতিসংঘে দেয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা তার কোনো বন্ধু দেশ আক্রান্ত হলে উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হবে।
ট্রাম্প একবার কিমকে উন্মাদ আখ্যা দেন এবং তাকে ‘রকেট মানব’ বলেন। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পাগল বলে আখ্যায়িত করেন কিম।
কিন্তু এপ্রিলের শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার বৈঠকের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিশ্বকে বিস্মিত করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে দায়িত্বরত কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এটাই হবে উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা।