logo
আপডেট : 12 May, 2018 01:28
ভারতের গুরুগ্রামে ৮৮ জায়গায় নামাজ পড়া বন্ধ
মেইল রিপোর্ট

ভারতের গুরুগ্রামে ৮৮ জায়গায় নামাজ পড়া বন্ধ

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রাম শহরে আগে ১২৫টি খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে পারতেন মুসলমানরা। কিন্তু সাম্প্রদায়িক বাধার মুখে ৮৮ জায়গায় নামাজ পড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এখন মাত্র ৩৭ জায়গায় নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৩টি জায়গা সরকারি এলাকায় পড়েছে।

যদিও মুসলিম সংগঠনগুলো বাধার মুখে পড়ে ১২৫ থেকে কমিয়ে ১০০ জায়গায় নামাজ পড়ার অধিকার দাবি করেছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পুলিশ। খবর এবিপি আনন্দের।

গত এক মাস ধরে গুরুগ্রামে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেক্টর ৫৩-র বজিরাবাদ গ্রামে সরকারি জমিতে নামাজ পড়া নিয়ে মুসলমানরা বাধার মুখে পড়েন।

জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাধা দিয়ে মুসল্লিদের সরে যেতে বাধ্য করেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিন্তু হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার মুসলমানদের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ার বিরোধিতা করেন।

কিন্তু গুরুগ্রাম শহরে বসবাসকারী মুসলমানদের তুলনায় মসজিদের সংখ্যা কম। ফলে খোলা জায়গায় জুমার নামাজ পড়ার অধিকার বজায় রাখার দাবি জানান তারা।

এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৫ মে পর্যন্ত সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করেছে রাজ্যসরকার।

উল্লেখ্য, ভারতের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক-প্রযুক্তি হাব গুরুগ্রাম। বহুজাতিক ফার্ম, সুউচ্চ ভবন ও আলো ঝলমলে শপিংমলের জন্য বিখ্যাত এ নগরী মিলেনিয়াম সিটি নামেও পরিচিত।

আগে এর নাম ছিল গুরগাঁও। কিন্তু ২০১৬ সালের এপ্রিলে হিন্দু পুরাণ মহাভারতের চরিত্র গুরু দ্রোনাচার্যের নামে নগরীটির নাম রাখা গুরুগ্রাম।

দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী এ শহরটিতে আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে তেমন বিতর্ক ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা বাড়ার যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তার প্রভাব পড়েছে গুরুগ্রামেও।