যে মতাদর্শের ওপর ভিত্তি করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বীভৎস নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে, প্রথমবারের মতো নতুন বিশ্লেষণসহ সেই সারগ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়েছে।
৫৭৯ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি লিখেছেন আইএসের আদর্শিক গুরু আবু আবদুল্লাহ আল মুহাজির। আল কায়েদা কিংবা আইএস, যার কথাই বলা হোক না কেন, আবু আবদুল্লাহের মতাদর্শের বাইরে তারা কেউ নয়।
বইটিতে মানুষের অঙ্গচ্ছেদ, মানব অঙ্গের ব্যবসা, শিরশ্ছেদ, শিশু হত্যাসহ সব ধরনের বর্বরতাকে ইসলামের কথা বলে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
দুই বছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্ত্রাসবিরোধী গ্রুপ কুইলিয়াম বইটির ওপর একটি নিখুঁত মূল্যায়ন দাঁড় করিয়েছে।
ইসলামের কথা বলে সেখানে যে ভুল ব্যাখ্যাগুলো দেয়া হয়েছে, কুইলিয়াম সেই যুক্তিগুলো খণ্ডন করতেও কাজ করেছে।
এ গ্রন্থটিকে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বাইবেল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
মূলত সহিংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আইনি কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে। এতে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের কার্যক্রমকে বৈধ করতে চেয়েছে আইএস।
কুইলিয়ামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা এবং আরব বিশ্বে এই ঘৃণ্য ও ভয়ঙ্কর গ্রন্থ নিয়ে বোঝাপড়ার মারাত্মক অভাব রয়েছে।
ফিকহ আল দিমা বা খুনের বিজ্ঞান নামে পরিচিত গ্রন্থটি মূলত সালাফি-জিহাদিদের গ্রন্থ। ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার, গণহত্যা, বেসামরিক লোকজনকে হত্যা, যৌনদাসী ও জিম্মি করার কার্যক্রমের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তা বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে গ্রন্থটিতে।
আইএসের এসব যুক্তি খণ্ডাতে গিয়ে কোরআন, ইসলাম শিক্ষা এবং যুদ্ধাবস্থায় ইসলামে নিষিদ্ধ কার্যক্রম দিয়ে আইএসের নৃশংসতার যুক্তি খণ্ডন করেছে কুইলিয়াম।