logo
আপডেট : 18 May, 2018 17:35
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল
মেইল রিপোর্ট

ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল

ভারতে লোকসভা ভোটের আর এক বছর বাকি। ঠিক এই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন এনেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সরানো হয়েছে স্মৃতি ইরানিকে। এই মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রাজ্যবর্ধন রাঠোরকে। আর স্মৃতি ইরানিকে দেয়া হয়েছে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মতো কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। 

রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে একটি বিবৃতি জারি করে ১৪ মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই রদবদলের বিষয়টি জানানো হয়। 

কয়েকদিন আগেই ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক ওঠায় দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পরে পিএমও দপ্তরে এই মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে চিঠিও দেন রাষ্ট্রপতি। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মাত্র ১১ জন পুরস্কার প্রাপকদের নিজের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রামনাথ কোবিন্দ। বাকিদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধণ সিং রাঠোর।

মনে করা হচ্ছে তারই প্রায়শ্চিত্ত করতে হলো স্মৃতি ইরানিকে।

এর আগে ২০১৫ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কের কারণে মানবসম্পদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় থেকে স্মৃতি ইরানিকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেয়া হয় প্রকাশ জাভড়েকরকে।

অন্যদিকে অন্তর্বর্তী অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। রেল মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে গোয়েলকে। কিডনিজনিত সমস্যায় গত এক মাস ধরেই অসুস্থ রয়েছেন অরুণ জেটলি। সোমবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এ তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। জেটলির সেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পীযূষ গোয়েলকে। জেটলি সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পরই তাকে ফের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তুলে দেয়া হবে। 

এদিকে মোদি মন্ত্রিসভায় তৃতীয় রদবদলটি হয়েছে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে। এই দপ্তরে প্রতিমন্ত্রী কে জে আলফোনসকে দেয়া হয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আর আলফোনস-এর ছেড়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এস এস আলুওয়ালিয়াকে। তিনি ছিলেন পানি ও স্যানিটেশন প্রতিমন্ত্রী।