গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার গোটা বিশ্ব। আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা এবং চিকিৎসাসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করে আসছে অনেক দেশ।
নিজ দেশে নিয়ে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু এতে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলের পাশাপাশি মুসলিম দেশ মিসরও।
তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী রেজেব আকদাগ অভিযোগ করেছেন, আহত ফিলিস্তিনিদের পরিবহনে তুরস্কের বিমানকে ইসরাইল ও মিসর তাদের বিমানবন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছে না।
ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তুর্কি সাইপ্রাসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিসে আলাপকালে আকদাগ এই অভিযোগ করেন।
প্রসঙ্গত, গাজার সঙ্গে কেবল ইসরাইল এবং মিসরের সীমান্ত রয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে মিলে মুসলিম দেশ মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিও ক্ষমতায় আসার পর থেকে গাজার ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
তুর্কি উপপ্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের ওপর এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান এবং একই সঙ্গেই আহত ফিলিস্তিনিদের তুরস্কে এনে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইল এবং মিসরের এমন বাধা প্রদানের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের নিপীড়নের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিপীড়িত ভাইদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব।’
উল্লেখ্য, ‘প্রত্যাবর্তনের মহাযাত্রা’ নামে গত ৩০ মার্চ থেকে ছয় সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে আসছে ফিলিস্তিনিরা।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইসরাইল যেসব ভূখণ্ড ও গ্রাম দখল করেছিল, সেখানে ফিরে যাওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘মহাবিপর্যয় তথা আল-নাকবা’ দিবস হিসেবে পরিচিত ১৫ মে। ওই দিন পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার সীমান্তে এই বিক্ষোভ পালন করা হয়।
গত ৩০ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ শুরুর পর গুলিয়ে চালিয়ে ১০৪ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। আহত করেছে ১২ হাজার ৬০০ জনকে। ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি আট মাসের শিশুও।
তবে গত ১৪ মে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ওই দিন ইসরাইলি সেনারা ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং ২ হাজার ৪০০ জনকে আহত করে।