মিলেনিয়াম টাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরে অবস্থিত। এর স্থপতি গ্যারি হ্যান্ডেল। ৫৮ তলা বিশিষ্ট এ বহুতল ভবনটি উন্মুক্ত হয় ২০০৮ সালে।
কিন্তু মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ভবনটি হেলে পড়ছে ও দেবে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে টাওয়ারটির ১৭ ইঞ্চি দেবে গেছে। আর হেলে পড়েছে ১৪ ইঞ্চি। তবে গেলো সপ্তাহে টাওয়ারের বাসিন্দাদের জন্য খুশির খবরটি সামনে এসেছে। ইঞ্জিনিয়ারদের বরাত দিয়ে দ্য সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল জানিয়েছে, ভবনটির এই দেবে যাওয়া ও হেলে পড়া ঠেকানো সম্ভব।
ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাব দিয়েছে শত শত স্টিল ও কংক্রিটের ‘মাইক্রো পাইলস’ বা পিলারের মতো এক ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে এই হেলে পড়া ও দেবে যাওয়া ঠেকানো যাবে। তবে এটি করতে খরচ হবে ২০ থেকে ৫০ কোটি ডলার, ১০ বছর আগে টাওয়ারটি বানাতে খরচ ৩৫ কোটি ডলারের চেয়েও বেশি।
২০১৭ সালে নগর কর্তৃপক্ষ মিলেনিয়াম টাওয়ার পরিদর্শন শেষে জানায় যে, ভবনটি বসবাসের জন্য নিরাপদ। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভবনটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
তবে তাদের অভিযোগ যে, কেনা দামের চেয়ে কম দামে তাদের অ্যাপার্টমেন্টগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে প্রায় ১০০টি কন্ডোর প্রতিটির দাম গড়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ডলার করে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
সান ফ্রান্সিসকোর চতুর্থ সুউচ্চ ভবন মিলেনিয়াম টাওয়ারে ৪০০-র ওপরে কন্ডো রয়েছে। ৬৪৫ ফুট উচ্চতার ভবনটির বাসিন্দাদের সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার সুযোগ রয়েছে। মিলেনিয়াম টাওয়ারে সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার, ওয়াইনের মজুদঘর, টেস্টিং রুম, মুভি থিয়েটার এবং প্রহরী সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান স্পেশ অ্যাজেন্সি সেন্টিনেল-১ স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, মিলেনিয়াম টাওয়ার প্রতি বছর ৪০ মিলিমিটার করে দেবে যাচ্ছে।
এদিকে বিল্ডিংস হোমওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলেনিয়াম পার্টনারস এবং ট্রান্সবে ট্রানজিট সেন্টার ডেপলপার্সের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করেছে।
টাওয়ারের বাসিন্দারা এখন বলছেন, তারা ‘প্রায় মূল্যহীন কন্ডো নিয়ে আটকে’ আছেন। মন্টানা ও তার স্ত্রী তাদের কন্ডোকে ‘বাসযোগ্যহীন’ উল্লেখ করে জমা ২৭ লাখ ডলার ও ১০ লাখ ডলার ‘অনুবর্তী ক্ষতিপূরণ’ দাবি করছেন।