শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যই নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই এটি দুঃসংবাদ বটে। এবি ডি ভিলিয়ার্স সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন।
৩৪ বছর বয়সী এইতারকা আজ বুধবার তার ব্যক্তিগত সাইটে ভক্তদের জন্য একটি ভিডিও পোস্ট করে এমন খবর ঘোষণা করেন। ভিলিয়ার্সের সিদ্ধান্তটা এমন সময় এসেছে যখন কিনা প্রোটিয়ারা প্রস্তুত হচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য।
তবে ডি ভিলিয়ার্স স্বপ্ন দেখতেন একদিন জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপ জিতবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৪ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে তিনি বলেন, ১১৪ টেস্ট, ২২8 ওয়ানডে ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর এটাই হয়তো উপযুক্ত সময়। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সত্য কথা আমি ক্লান্ত।
‘এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত, আমি এটা সম্পর্কে দীর্ঘ সময় ধরে অনেক চিন্তা করেছি এবং এখনও ভালো ক্রিকেট খেলছি আমি। কিন্তু এই সময়েই অবসর গ্রহণ করতে চাই। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অসাধারণ সিরিজ জয়ের পরে এখনই সময় নিজেকে সরিয়ে নেয়ার।’
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কখন, কোথায় খেলবো এমন সিদ্ধান্ত নেয়া আমার পক্ষে অসম্ভব। আমি সবসময় কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব এবং আমাদের খারাপ সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা সমর্থন দেয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই আমার সহযোগীদের। তারা না থাকলে হয়তো এত বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠতাম না।
বিদেশের হয়ে খেলার জন্য আমার কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে টাইটান্স এর জন্য খেলে যাবো। আমি আনন্দিত যে, ফাফ ডু প্লেসিস এবং প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় সমর্থক হতে যাচ্ছি।
ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড এবং পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে প্রোটিয়া ক্রিকেট তার কাছে চিরকৃতজ্ঞই থাকবে। এবি’র ঝুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে এক ইনিংসে করেছেন অপরাজিত ২৭৮ রান। টেস্টে সব মিলে করেছেন ৮ হাজার ৭৬৫ রান। ওয়ানডেতে করেছেন ৫৩.৫০ গড়ে ৯ হাজার ৫৭৭ রান।
এবি শুধু টেস্ট আর ওয়ানডেতেই নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও খেলেছেন অসাধারণ সব ইনিংস। টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ ম্যাচে করেছেন ২৬.১২ গড়ে ১৬৭২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জিতেছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।