সারা দিনের রোজার প্রত্যাশিত সমাপ্ত হয় ইফতারে। দীর্ঘক্ষণ পর এ পানাহার আনন্দ এনে দেয় রোজাদারদের মনে।
আর এ আনন্দকে আরও প্রসারতা দিতে আয়োজন করা হয় বাহারি ইফতারের। মিলেমিশে একসঙ্গে বসে ইফতার করতেও ভুল করেন না ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একসঙ্গে সম্প্রীতির ইফতার মাহফিল মুসলিম বিশ্বে আদিকাল থেকে চলে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রমজানকে স্মরণ করে রাখতে বিভিন্ন দেশে বসছে রেকর্ড ভাঙা অনেক বড় বড় ইফতারের আসর। তেমনি বড় একটি ‘ইফতার টেবিল’ বসেছিল মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে।
যা চার হাজার ৪০৩ মিটার (প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার) লম্বা। একটি টেবিলে একসঙ্গে সাত হাজার লোকের ইফতার আয়োজন করে বিশ্বের আগের রেকর্ড ভেঙেছে নীল নদ আর পিরামিডের এ দেশটি।
ওই ইফতার টেবিলে সারিবদ্ধভাবে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেয়। কারও পোশাক-আশাকে আভিজাত্যের ছাপ, কারও দারিদ্র্যের। তবে কারও মধ্যে ছিল না কোনো জড়তা। সবাই একই রকম ইফতার নিয়ে বসেছিলেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।
স্মরণীয় এ সম্প্রীতির ইফতার টেবিলটির আয়োজন করেছিল ‘রেডিও অ্যাক্টিভ’ নামে তরুণদের একটি সংগঠন। তবে এ আয়োজনে মিসরীয় সরকারের সমন্বয়ও ছিল সংগঠনটির সঙ্গে।
এর আগে ২০১৪ সালে দুই কিলোমিটারজুড়ে ইফতারের আয়োজন করেছিল ভূমধ্যসাগরের উপকূলভূমি ইতালি। পাশাপাশি এক হাজার ২৮৬ মিটার লম্বা ইফতার টেবিলের আয়োজন করে রেকর্ডভুক্ত হয়ে আছে ফিনল্যান্ডও। এ ছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দাসহ বিভিন্ন শহরে বড় বড় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয় প্রতি বছরই।