দক্ষিণ চীন সাগরে পারাসেল নামক একটি দ্বীপে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ- ইউএসএস হিগিনস এবং ক্রুজার অ্যান্টাইট্যামের উপস্থিতি দেখা গেছে। জাহাজটি ওই দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশে করেছে। আর এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ বিনা অনুমতিতে চীনের সমুদ্র-সীমায় ঢুকে তাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করেছে এবং স্পষ্টতই চীনকে উসকানি দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্যারাসেল দ্বীপটি নিজেদের দাবি করছে চীন, যদিও ভিয়েতনাম এবং তাইওয়ানও দ্বীপটির মালিকানা দাবি করে আসছে। চীন জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ দুটোকে দ্রুত চলে যেতে বলার জন্য যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে নিশ্চিত করেছে, তাদের দুটো জাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বিতর্কিত দ্বীপের কাছে গেছে।
১২ মে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি থেকে দেখা যায়, এই দ্বীপেই চীনা বিমানবিধ্বংসী এবং জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরই হাওয়াই দ্বীপের একটি যৌথ সামরিক মহড়া থেকে চীনকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমেরিকা।
এরপর রোববার দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের তৎপরতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন ধরে নাখোশ।
চীন বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সাগরে তাদের প্রভাব বিস্তারে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাগরের মাঝে বিভিন্ন ডুবো চরে বেশ কিছু কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। কিন্তু আমেরিকা চীনের এই সার্বভৌমত্বের দাবি মানেনা।