ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারত-চীন সম্পর্ক। আর তারই জের ধরে এবার ভারত মহাসাগরে এক বিশেষ ট্র্যাকিং সিস্টেম বসাল চীন, যার মাধ্যমে বিস্ফোরণ ও ভূমিকম্প চিহ্নিত করতে পারবে বেইজিং।
জানা গেছে, আগামী এক বছরে চীন এরকম আরও পাঁচটি ডিভাইস বসাবে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, চীনের এইসব ডিভাইস আসলে সামরিক কাজেই লাগানো হবে।
এ ব্যাপারে সাংহাই অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সের এক রিসার্চ ফেলো হু ঝিয়ং জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের সঙ্গে আসলে কোনো সামরিক সম্পর্ক নেই। দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগরে গবেষণার জন্যই এইসব ডিভাইস লাগানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সব উন্নয়নশীল দেশের আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যে গবেষণা চালানোর অধিকার রয়েছে।'
জানা গেছে, ওই সিসমোমিটার ডিভাইসটি দীর্ঘদিন ধরে পানির তলায় থাকবে ও পানির নিচে কোনো ভূমিকম্প বা অন্য কোনো কম্পন সংক্রান্ত তথ্য যোগাড় করবে। কয়েকমাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ডিভাইসটি রাখা হবে বলে জানা গেছে।
এই প্রথমবার ভারত মহাসাগরে সিসমোমিটার বসাল চীন। লংগকি, ইউহুয়াং ও দুয়ানকিয়াও নামের তিনটি জায়গায় আগেই সিসমোমিটার বসিয়েছে চীন। নতুন সিসমোমিটারে যে ব্যাটারি রয়েছে তা এক বছর পর্যন্ত অনায়াসে কাজ করতে পারবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, জুন মাসেই সাংহাই কো-অপারেশন সামিটে যোগ দিতে চীনের কিংদাও শহরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই ভারত মহাসাগরে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল চীন।