ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইইউ, মেক্সিকো ও কানাডার ইস্পাতের ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তা কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিক্রিয়া দেখানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইইউ’র প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার।
ইইউ’র জন্য হোয়াইট হাউজের বেঁধে দেয়া শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শুক্রবার শেষ হওয়ার আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিল যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি ও এএফপির।
ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার ইইউ’র প্রধান জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, বিশ্বের বাণিজ্য ইতিহাসে আজ একটি খারাপ দিন। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) তোলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করা ছাড়া ইইউর কোনো বিকল্প নেই।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ২৩ মার্চে ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাং শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তখন তিনি ইইউ, কানাডা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া এবং আর্জেন্টিনাকে শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেন।
সে সময়ই ইইউভুক্ত দেশগুলোসহ কয়েকটি দেশের ওপর শুল্ক কার্যকরের বিষয়টি এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরে এ সময়সীমা শেষের আগে ফের এক মাসের জন্য তা বাড়ানো হয়।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শুল্ক আরোপের জবাবে ইইউ পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু এর পরের প্রশ্ন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সেটি। চীন যখন পাল্টা পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন তার প্রতিক্রিয়া তো আপনারা দেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে সেটি হবে ইইউ’র পাল্টা পদক্ষেপের সিদ্ধান্তের কারণেই। ওয়াশিংটন ইইউ’র সঙ্গে কোন বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না।’ শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অন্যায় করছে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নও বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না।