নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের ১৫তম ও প্রথম নারী কনসাল জেনারেল হিসেবে যোগ দিলেন মিজ সাদিয়া ফয়জুননেসা। শুক্রবার (১ জুন) তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন।
১৮তম বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের সদস্য মিজ সাদিয়া ফয়জুননেসা ১৯৯৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। বর্তমান দায়িত্বে যোগ দেওয়ার আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মিজ সাদিয়া ফয়জুননেসা জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কনস্যুলার ও কল্যাণ বিভাগের প্রধান হিসেবে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও চেক রিপালিকে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবাধর্মী ও স্বার্থরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।
এর আগে ২০১৩-২০১৬ মেয়াদে মিজ সাদিয়া নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত ‘এসকাপ’ সদর দফতরে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ও কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন, ইউরোপ, জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক অর্থনীতি বিষয়ক উইংয়ে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনের সময় মিজ সাদিয়অ বাংলাদেশ ডেলিগেশনের সদস্য হিসেবে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’, ‘নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন ফর রিফুজিস অ্যান্ড মাইগ্রেন্টসে’র বিভিন্ন আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি ২০১৪-২০১৬ পর্যন্ত ‘কালচার অব পিস’ রেজুলেশনের ফ্যাসিলেটেটর ও ‘ইকোসক হিউম্যানিটেরিয়ান রেজুলেশনে’র কো-ফ্যাসিলেটেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ নবম ‘গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেপমেন্টে’র চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি টাস্ক টিমের সদস্যও ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) হিসেবে তিনি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে একজন সমন্বয়কারী হিসেবে ভূমিকা রাখেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী মিজ সাদিয়া পরে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে তিনি ‘ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ পদকে ভূষিত হন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিসহ ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত কূটনীতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
উন্নয়ন কূটনীতি, বৈশ্বিক ব্যবসায় সাফল্য, জনকূটনীতি এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় সংশ্লিষ্ট কূটনীতি বিষয়ে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।