নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আবাদি জমি স্থানীয় কৃষক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাখাইন রাজ্য সরকার।
মিয়ানমারের দুটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ৭০ হাজার একর জমির মধ্যে ১০ হাজার একর জমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিয়েছে মায়ানমার সরকার, বাকিগুলোও ইজারা দেওয়া হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্যে সরকারি আশ্রয় শিবির বন্ধেও পদক্ষেপ নিচ্ছে নেপিদো।
গত বছর আগস্টে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর সরকার ৭০ হাজার একর জমিতে এতদিন সরকারি উদ্যোগে চাষাবাদ হলেও এবার নতুন এক পরিকল্পনা করছে দেশটির রাজ্য সরকার।এবছর রাখাইনের কৃষি ও খনন মন্ত্রণালয় এর আগে ১০ হাজার একর জমিতে চাষাবাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। পরে এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে তারা। কারণ এত সংখ্যক জনবল নেই তাদের।
বাজেয়াপ্ত জমি, স্থানীয় কৃষক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রাখাইনের কৃষি ও বনমন্ত্রী ইউ কিয়াও লিন। পাশপাশি বন্ধ হচ্ছে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত আশ্রয় শিবিরগুলো। সেখানে থাকছিলেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ।
মিয়ানমার সরকার একটি আশ্রয় শিবির বন্ধে দাবি করলেও একে একে সব পূর্র্নবাসন শিবির বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের পরিস্থিতি উন্নোয়নে ৮৮ সুপারিশ করে সু চির আহ্বানে গঠিত আনান কমিশন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল দীর্ঘ সময়ের জন্যে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি।
রাখাইন রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে মোট ১ কোটি ১০ লাখ একর ধানের জমি আছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজার মংডুতে, ৭৭ হাজার বুথিয়াডংয়ে ও ৮৮ হাজার রথেডংয়ে।