বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এবার প্রকাশ্যে এলো এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশাল অঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা। বিতর্কের কেন্দ্রে এবারও বিসিসিআই এর প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন।
তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল করানোর জন্য মোট ২৪৩ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন ও তার সহকারীরা। এবার তারই খেসারত দিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে।
এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে জানা গেছে, লোকসভা নির্বাচনের জন্য ২০০৯ সালে ভারত থেকে আইপিএল সরিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রাক্তন বোর্ড কর্তারা। বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন অনুযায়ী যা দণ্ডনীয় অপরাধ।
এন শ্রীনিবাসনসহ প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদি এবং বিসিসিআই এর প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ এমভি পানদোভে প্রত্যক্ষভাবে এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলেই জানিয়েছে ইডি।
যার জন্য এদের প্রত্যেককে আলাদা করে আর্থিক জরিমানার দিয়েছে ইডি। যার পরিমাণ ১২১.৫৬ কোটি টাকা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিসিসিআইকে এর জন্য দিতে হবে ৮২.৬৬ কোটি টাকা। এছাড়াও এন শ্রীনিবাসনের ১১.৫৩ কোটি, ললিত মোদির ১০.৬৫ কোটি, পানদোভের ৯.৭২ কোটি টাকার জরিমানা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাকি ৭ কোটি টাকা দিতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ত্রিবাঙ্কুরকে।
যারা এখন স্টেট ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। আর এই টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়ার জন্য ৪৫ দিনের সময়সীমাও বেধে দিয়েছে তাঁরা।