যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যের সীমান্তবর্তী লারেদো শহর থেকে গত সপ্তাহে কমপক্ষে আরও ১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই নিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকার দায়ে এই অর্থবছরে মোট ২৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হলেন।
অভিবাসন প্রত্যাশীরা মেক্সিকো হয়ে লারেদো শহরের দক্ষিণের রিও গ্রান্ড নদীর পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করেন। মানব পাচারকারী চক্রগুলোই মূলত ওই রুট নিয়ন্ত্রণ করে।ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশি দূতাবাস বলেছে, তারা এসব গ্রেপ্তারের ঘটনায় সচেতন রয়েছেন। আর তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে মার্কিন সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
লারেদো সেক্টরের সহকারী প্রধান টহল কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েল আকোস্টা বলেন, প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মানুষ আটক হন। গ্রেপ্তারের পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সবার ডাটাবেজ ঘেটে দেখা হয়। এর মাধ্যমে তাদের আগের অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের অভিবাসন মর্যাদাও জানা যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়। সেই হিসেবে আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮০ সালে কনভেনশনে স্বাক্ষর করে তা নিজ দেশে আইনে পরিণত করে।
ট্রাম্প প্রশাসন যখন ‘ধরো এবং ছেড়ে দাও’ প্রক্রিয়াকে আরও কঠোর করার চিন্তা করছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি খবরের শিরোনাম হচ্ছে।