তিনদিন আগেই ইসরাইলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত ফুটবল প্রীতি ম্যাচ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর প্রেক্ষিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও মার্সিকে ফোন করে খেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তাতেও রাজী হয়নি মেসির দল।
ফিলিস্তিনিদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আর্জেন্টিনা ইসরাইলের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত ফুটবল প্রীতি ম্যাচ বাতিল করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাসের রাজনৈতিক দফতরের প্রভাবশালী সদস্য হেসাম বাদরান বলেছেন, আর্জেন্টিনার এই সিদ্ধান্ত থেকে প্রমাণিত হয়েছে গণমানুষের চাপ বাস্তব ফল বয়ে আনতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বয়কট, পুঁজি প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে 'বিডিএস' আন্দোলন চলছে তা একধরনের প্রতিরোধ। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান সাফল্য অর্জন করা সম্ভব এবং ইসরাইলকে কোণঠাসা করতে এ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আগামী ৯ জুন বায়তুল মুকাদ্দাসে (জেরুজালেম) ইসরাইলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তীব্র সমালোচনা ও ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ওই ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
আর্জেন্টিনার ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট মিনুতুনো জানিয়েছে, সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা, হুমকি ও সমালোচনার মুখে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার ফুটবল দল ইসরাইলের সঙ্গে ৯ জুনের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিল করেছে।
এই সিদ্ধান্তের পর ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এতে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়েছে ইসরাইলি নেতারা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও মার্সিকে ফোন করে খেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ করেছেন।
জবাবে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশের ফুটবল ফেডারেশন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। ফুটবল ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না।
ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী এভিগডোর লিবারম্যান আর্জেন্টিনার ফুটবল টিমের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
ইহুদিবাদী দৈনিক ইয়াদিউত অহারনোত বলেছে, আর্জেন্টিনার সিদ্ধান্তে আরও একটি বিজয় হয়েছে বয়কট আন্দোলন তথা বিডিএস মুভমেন্টের।