আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পরপর হামলায় আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫১ জন। নিহতদের মধ্যে চার জন হলো হামলাকারী।
কাবুলের দারুলামানে গ্রামীণ পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বাইরে সোমবার সকালে হামলার ঘটনা ঘটে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দাউদ নাঈমী বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে মন্ত্রণালয়ের গেইটে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গ্রুপই হামলার দায় স্বীকার করেনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নজিব দানিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং কর্মচারিরা রয়েছেন।’ আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজন। এর আগে সকালে কুন্দুজ প্রদেশের সেনাশিবিরে তালেবানের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৫ জন সেনা। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন সেনা সদস্য।
তার কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় সময় সকাল ৯.মিনিট নাগাদ নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহরে শিক্ষা দপ্তর ভবনের বাইরে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক আত্মঘাতী হামলাকারী। তারপরই গুলি চালাতে চালাতে ভবনের ভিতর ঢুকে পড়ে অপর কয়েকজন। হামলার কথা জানান নানগারহারের শিক্ষা বিভাগের প্রধান আসিফ শিনওয়ারি। খবর পেয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে পাল্টা গুলি চালায় সেনা। সংঘর্ষে নিহত হয় তিন জন হামলাকারী। ওই হামলার দায় অবশ্য স্বীকার করেনি তালেবানরা।
এভাবে সোমবারই পরপর হামলায় আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫১ জন। নিহতদের মধ্যে চার জন হলো হামলাকারী।
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনির সঙ্গে ইদের জন্য সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছে তালেবানরা। চুক্তি মতো আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত দু’ক্ষই কোনও গোলাগুলি চালাবে না। অথচ চুক্তির কিছু দিনের মধ্যেই এই হামলায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে চুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে।
গত শুক্রবারই তালিবানদের তরফে বলা হয়েছিল আফগানিস্তানের মাটিতে তারা কোনও বিদেশি শক্তিকে বরদাস্ত করবে না, তবে ঈদের আগে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি যাতে যথাসম্ভব কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে।
সোমবারের হামলা তালেবানদের বিদেশি গোষ্ঠীর সদস্যরা চালিয়েছে বলেই ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ বিক্ষুব্ধ তালেবান মোল্লা মহম্মদ রসুল নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী এই সংঘর্ষবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেও কোয়েট্টা শাখা সংঘর্ষ বন্ধে সায় দেয়নি।