সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন ‘বিশদ’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে দু্ই নেতার মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এই যৌথ ঘোষণা সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছেন এটি ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ‘বেশ ব্যাপক’ এবং তিনি ও ‘চেয়ারম্যান কিম’ এটি স্বাক্ষর করে ‘দুজনেই খুব সম্মানিতবোধ করছেন’।
কিম বলেছেন, “আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছি এবং অতীতকে পেছনে ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
‘এই বৈঠক হওয়ার জন্য’ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প-কিম যৌথ ঘোষণার প্রধান তিনটি পয়েন্ট বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী তুলে ধরা হল:
০ যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের আকাঙ্খানুযায়ী নতুন ইউএস-ডিপিআরকে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকবে।
০ কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তির শাসন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে তাদের উদ্যোগ যুক্ত করবে।
০ চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজোম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিআরকে এর প্রতিশ্রুতি।
এই যৌথ ঘোষণায় দুই নেতা স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় এটিকে ‘ব্যাপক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, “আজকে যা হল তার জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত।”
“আমরা দুজনেই চাই কিছু করতে, আমরা দুজনেই কিছু করতে যাচ্ছি,” বলেছেন তিনি।
দীর্ঘ দিনের বৈরি দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরুর প্রথম ধাপেই অচলাবস্থা কেটে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে হয়তো উত্তর-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা মানচিত্রে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এর আগে ১৯৭২ সালে প্রায় একইভাবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন বেইজিং সফরকালে চীনের ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছিল।
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তার অতীতকে পেছনে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্ব এক বিশাল পরিবর্তনকে দেখবে।’
উনের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ’ হয়েছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্ক হবে অনেক ব্যতিক্রম।
তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অনেক বেশি সন্তুষ্ট হবে এবং তারা অনেক বেশি আনন্দিত হবে এবং আমরা বিশ্বের অনেক বিপজ্জনক একটি সমস্যাকে মোকাবেলা করছি।’
কিমকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানাবেন কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেছেন, ‘অবশ্যই, আমি আমন্ত্রণ জানাব।’