আগামীকাল রোববার ২৪ শে জুন থেকে শুরু হচ্ছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্টের নির্বাচন। পূর্বের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন সীমাহীন গুরুত্বের। কারণ, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দেশটি নতুন শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তিত হবে। সাংসদীয় থেকে প্রেসিডেন্টসিয়াল পদ্ধতির রূপ নিবে।
এ নির্বাচনের সবকটি সমীক্ষায়ই এগিয়ে আছেন দেশটির প্রভাবশালী ও ক্যারিশম্যাটিক নেতা হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক ক্ষমতা উভয় মিলে আরও বেশি শক্তিশালী।
তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, পাশ্চাত্যের ৫৬ % শতাংশ গণমাধ্যমই এরদোগানের ১৫ বছরের বিজয়ের পিছনে না গিয়ে কেবল এরদোগান বিরোধী ফ্রন্টকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।
নির্বাচনের এই মুহূর্তে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো আশা করছে, এরদোগানের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্চি (সিএইচপি) প্রার্থী মোহাররেম ইনজে নির্বাচনে জয়ী হবেন।
২৪ জুনের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় জন প্রার্থী। তারা হলেন,ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান, সিএইচপির মোহাররেম ইনজে, ইয়ি বা গুড পার্টির মেরাল আকসেনার, কুর্দিশদের এইচডিপির সালাদিন দেমিরতাশ, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলু।
অপর দিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে দুটি শক্তিশালী রাজনৈতিক জোট এবং কিছু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। এরদোগানের একেপির নেতৃত্বে ‘জুমহুর ইত্তেফাক’ নামক জোটে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি ও ইসলামিক জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টি।
অন্যদিকে সিএইচপির নেতৃত্বে ‘মিল্লাতে ইত্তেফাক’ নামক জোটে সিএইচপি, জাতীয়তাবাদী দল থেকে ভেঙে নবগঠিত ইয়ি পার্টি বা গুড পার্টি, তুরস্কের ইসলামপন্থী দল সাদাত পার্টি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।