সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাসরত অবৈধ প্রবাসীদের দেশটির সরকার আগামী ১ আগস্ট থেকে তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দিয়েছে।
গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দেশটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টি অ্যান্ড সিটিজেনশিপের বিদেশি নাগরিক বিষয়ক ও বন্দর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার সাইদ রাকান আল রাশেদি বলেন, ঘোষিত সময়ের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা চাইলে নামমাত্র ফি দিয়ে তাদের কাগজপত্র বৈধ করে নিতে পারেন অথবা কোনো ধরনের জেল-জরিমানা ছাড়াই আমিরাত ছাড়তে পারবেন।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন করে বৈধতা নিশ্চিত করে নিজেকে সুরক্ষিত করুন শীর্ষক এই সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে।
২০১৩ সালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় ৬২ হাজার অবৈধ অভিবাসী নিজেদের বৈধ করে নিয়েছেন। ওই সময় দুই মাসের সুযোগ দেয়া হয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর জন্য এক বছরের বসবাসের ভিসা প্রসঙ্গে আল রাশেদি বলেন, সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের নাগরিকদের জন্য এই বিশেষ ভিসা অনুমোদন করা হবে।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনের মতো রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নিজ দেশে ফিরতে পারছেন না—এমন দেশের নাগরিকেরা বিশেষ এই মানবিক ভিসা পাবেন।
কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, মিসর হয়ে ফিলিস্থিনিদের দেশে ফেরার পথটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরব আমিরাতে পর্যটক বা কর্মসংস্থান ভিসায় এসব দেশের যেসব নাগরিক এসে মেয়াদ শেষে অবৈধ হয়ে গেছেন তারা এই মানবিক ভিসার আওতায় পড়বেন। তাদের কোনো ধরনের জরিমানা দিতে হবে না।
বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তরাও এক বছরের এই বিশেষ ভিসা পাবেন।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশটির সরকার ২৫ হাজার মানবিক ভিসা দিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ব্যক্তি জরিমানা থেকে রেহাই পেয়েছেন, বাকিরা আংশিক ছাড় পেয়েছেন।