পশ্চিম তীরের নাবলুসে ইউসুফ নবীর মাজারমুখী একটি বিক্ষোভ থেকে সাত ফিলিস্তিনিকে আটক ও ৫০ জন আহত করে ইসরাইলি বাহিনী।
গণমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে বাসে করে বসতি স্থাপনকারীরাও সেখানে আসেন।
ইসরাইলি বাহিনী এসময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি, রাবার বুলেট ও গ্যাস বোমা ছোঁড়ে।
মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাদের ছোঁড়া গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন নাজা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মেরে। নাবলুসে কেন্দ্রীয় সবজি মার্কেটে যাওয়ার সময় তার ডান হাতে এবং তার ছেলের কাঁধে গুলি লাগে। পরে তাদের দুজনকেই রাফিদিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলীয় সমভূমিতে অবস্থিত নাজা গ্রামের এই দুই ফিলিস্তিনি তাদের সবজি ও গবাদিপশু বিক্রির জন্য বাজারে যাচ্ছিলেন। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে একজন সাংবাদিকসহ আরও ২৬ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইয়ামিন আল্লান সামি নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের মাথায় রাবার বুলেট লাগে। ১৮ বছর বয়সী আরেক কিশোর তারেক আব্দুল্লাহ নাবির ডান পায়ে একটি তাজা গুলি লাগে। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসের কারণে কমপক্ষে ১৭ জন ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করেন এটি ইউসুফ নবীর নয় বরং শেখ ইউসুফ দেউইকাত নামের একজন ধর্মীয় নেতার মাজার। তবে অন্যদের মতে, এটি ইউসুফ নবীর মাজার।