৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করবে চীন। আগামীকাল শুক্রবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর ৩৪ বিলিয়ন ডলারের শুল্কারোপ করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর বেইজিংয়ের কাছ থেকে এমন ঘোষণা আসল।
চীনের এক কর্মকর্তা বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ৬ জুলাই থেকে আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে তবে আমরাও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সবকিছুই সমানে সমান হবে।
এর আগে ১৫ জুন ওয়াশিংটন জানায়, তারা ৬ জুলাই থেকে চীনের ৮১৮টি পণ্যের ওপর ২৫ ভাগ শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে, যার আর্থিক মূল্য ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এরপরপরই চীনের স্টেট কাউন্সিল কমিশন ‘ট্যারিফ এন্ড কাস্টমস’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত কৃষিপণ্য ও অটোমোবাইলের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করার হুঁশিয়ারি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর ‘অন্যায্য বাণিজ্য নীতির’ অভিযোগ আনার পর থেকেই বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলে আসছে। মার্চে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আমদানীকৃত স্টিলে ২৫ ভাগ এবং অ্যালুমিনিয়ামে ১০ ভাগ শুল্কারোপ করার পর এটি আরো চরমে পৌঁছায়। মার্কিন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে সংরক্ষণবাদী বাণিজ্য নীতি থেকে সরে আসার পরামর্শ দেয়।
চীনের ‘আয়রন এন্ড স্টিল এসোসিয়েশন’ আমদানিকৃত পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কারোপকে ‘সংরক্ষণবাদের মূর্খতা’ বলে মন্তব্য করে। মে মাসে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ তদন্তের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপের প্রস্তাব দেয়।
এর প্রেক্ষিতে চীন জানায়, যদি এটি করা হয় তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন এবং এয়ারক্রাফটের ওপর পাল্টা শুল্কারোপ করবে।