বিশ্ববাজারে বেড়েই চলছে তেলের দাম। বুধবারও প্রতি ব্যারেল তেল সর্বোচ্চ ৭৮.১০ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সময় ঘনিয়ে আসায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুদ হ্রাস পাচ্ছে- গণমাধ্যমে খবর বের হওয়ার পরই তেলের বাড়তে শুরু করেছে।
আন্তর্জাতিক গণামধ্যমের খবর, আগামী ৬ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে এরই মধ্যে সংকুচিত তেলের বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বুধবার ব্রেন্ট কোম্পানির অপরিশোধিত তেল ৭৮.১০ ডলারে হাতবদল হয়েছে।
আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট বা এপিআই জানিয়েছে, গত ২৯ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের মজুদ ৪৫ লাখ ব্যারেল কমে চার কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেলে এসে পৌঁছায় তেলের দাম বেড়ে গেছে।
তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ট্রাম্প সম্প্রতি এক টুইটবার্তায় দাবি করেছিলেন, তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সৌদি আরব ২০ লাখ ব্যারেল বাড়তি তেল উত্তোলন করতে রাজি হয়েছে।
সৌদি আরব বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি এক কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করে।
এছাড়া ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন ইরানকে তারা কোনো তেল বিক্রি করতে দেবে না। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে।
এ অবস্থায় তেলের দাম ঠিক রাখতে সৌদি আরবকে তেল উত্তোলন বাড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছে।
এদিকে সৌদি আরব এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা পূরণের জন্য তারা প্রতিদিন বাড়তি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করবে। এতে মার্কিন চাপের কাছে দৃশ্যত নতিস্বীকার করেছে রিয়াদ।