সাংবিধানিকভাবে বরাদ্দকৃত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মেক্সিকোর নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাদোর।
রক্তক্ষয়ী নির্বাচনি প্রচারণার কাল অতিক্রম করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আমলো নামে পরিচিত ওই বামপন্থী-জাতীয়তাবাদী।
নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তিনি বলেছেন, যারা ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে থাকে তাদের দেহরক্ষী লাগে না, জনগণই তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
১ জুলাই রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আমলো। তার প্রাপ্ত ভোট নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিগুণ।
রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যানেই ২০১৭ সালে মেক্সিকোতে ২৫ হাজারেরও বেশি খুনের ঘটনা লিপিবদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে গত বছরের তুলনায় খুনের হার বেড়েছে ১৫ শতাংশ। নিবার্চনি প্রচারণার কালে, প্রার্থী আর সরকারি কর্মকর্তাসহ ২০০ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ১৩০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতি সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর দেওয়া নিরাপত্তা প্রত্যাখান করেছেন আমলো।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটোর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় দফতর ন্যাশনাল প্যালেসে এক বৈঠকের সময়ে আমলো নিরাপত্তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। বৈঠক শেষে বেরিয়ে একটি ভক্সওয়াগন জেট্টা গাড়ির সামনের সিটে বসে চলে যান সদ্য নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্ট। ল্যাটিন আমেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টেলিসুর জানিয়েছে, সে সময় তার চারপাশে সমর্থকদের দেখা গেলেও কোন দেহরক্ষীকে চোখে পড়েনি। বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে লোপেজ ওবরাদোর বলেন, ‘সত্যিকার আর গভীর এক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। এটা হবে মৌলিক এক পরিবর্তন তবে কারও ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
এক মিছিল থেকে জনগণের উদ্দেশে আমলো বলেন, প্রেসিডেন্সিয়াল জেনারেল স্টাফদের সেবা আমি ব্যবহার করবো না, আমি দেহরক্ষী পরিবেষ্টিতও থাকবো না। যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই… জনগন আমাকে রক্ষা করবে। তার প্রশাসনের অগ্রাধিকার পাওয়া কাজের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, তরুণদের জন্য বৃত্তি আর বয়স্কদের জন্য অবসর সুবিধা প্রদান আর আগের সম্পাদিত তেল চুক্তিগুলোর পর্যালোচনা।
প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হলো নিরাপত্তা। যার মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ ও পেশাদারীকরণের মাধ্যমে পুলিশের আধুনিকায়ন। এর মাধ্যমে রাস্তা থেকে সামরিক বাহিনীকে অপসারণের প্রস্তাব রয়েছে তার পরিকল্পনায়।