ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
আগামী বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার যে সিদ্ধান্ত থেরেসা মে নিয়েছেন, তার প্রতিবাদ জানিয়ে বরিস জনসন সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মে’র নীতির প্রতি অনুগত হিসেবে পরিচিত নতুন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ব্রেক্সিটের গণভোটের জের ধরে ক্যামেরন পদত্যাগ করার পর মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে হান্টকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বহাল রেখেছিলেন। ফলে গত সাড়ে পাঁচ বছর টানা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ম্যাট হ্যানকককে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
হান্টের নিয়োগের ফলে প্রধানমন্ত্রী মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ভারসাম্য আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হান্ট ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
তবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা বলেছিলেন, তিনি বিষয়টিতে তার মত পাল্টেছেন। তিনি ব্রেক্সিট আলোচনায় ইইউ ‘ঔদ্ধত্ব’দেখাচ্ছে বলেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।