ইরানের সঙ্গে দীর্ঘময়াদি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায় ভারত এবং তৃতীয় কোনো দেশের হস্তেক্ষেপে তেহরানের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরান থেকে ভারতকে তেল না কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক আহ্বানের প্রেক্ষেতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) বিনয় কৃষ্ণ সিং দেশটির জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বুধবার একথা বলেছেন। তিনি বলেন- জ্বালানি, বাণিজ্য ও চবাহার বন্দর নিয়ে ইরানের সঙ্গে ভারত দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িত।
জেনারেল সিং বলেন, ইরান ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিজের ওপর নির্ভর করে এবং তৃতীয় কোনো দেশের প্রভাবে ভারতের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় না।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালে ইরান সফর করেছেন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ২০১৮ সালে ভারত সফর করেছেন। উঁচু পর্যায়ের এসব সফরের সময় প্রতিষ্ঠিত সমঝোতার ভিত্তিতে দুই পক্ষ জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এছাড়া, বাণিজ্য সম্পর্ক ও বিনিয়োগ সহযোগিতা গভীর করতে চায় দুই দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর যে সমঝোতা সই হয় তাতে যুক্তরাষ্ট্র সই করেছিল। পরবর্তীতে সে সমঝোতা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করে।
কিন্তু গত ৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী ৪ নভেম্বরের পর কোনো দেশ ইরানের কাছ থেকে জ্বালানি তেল কিনতে পারবে না। ভারত হচ্ছে ইরানি তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। সেক্ষেত্রে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করা যায়।