সীমান্তে গুলিতে এক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার গাজা উপত্যকায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। পরে জাতিসংঘ ও মিসরের মধ্যস্থতায় শনিবার সকালে দুপক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র বলেন, ব্যাপক সংঘাত এড়াতেই তারা চুক্তি করেছেন।
গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া বসতবাড়িতে ফেরার অধিকার দাবিতে বিক্ষোভ ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে এ পর্যন্ত ১৪৯ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই ইহুদিবাদী স্নাইপারদের গুলিতে, বাকিরা গোলায় ও বিমান হামলা নিহত হন।
এই প্রথম কোনো ইসরাইলি সেনা নিহত হল। তেলআবিব জানিয়েছে, গুলিতে গুরুতর জখম হওয়ার পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তেলআবিবের পাল্টা আক্রমণে হামাসের তিন সদস্যসহ অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
কয়েক মাসের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে জাতিসংঘ দুপক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লেডেনভ বলেন, গাজা উপত্যকার প্রতিটি মানুষকে সংঘাতের আশঙ্কা থেকে সরে যাওয়া উচিত। আগামী সপ্তাহে নয়, আগামীকালও নয়, এখনই।
তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলকে আরেকটি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে যাচ্ছে, তারা সফল হবেন না।