ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, শুক্রবার গাজায় হামলার পর ইসরাইলের সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে তারা। শনিবার হামাসের মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এক সেনা নিহতের জের ধরে শুক্রবার গাজায় ইসরাইলি হামলায় চারজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। পাল্টাপাল্টি হামলা পরিস্থিতির পরই হামাসের পক্ষ থেকে এ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানানো হল।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রবিরতি হল। যদিও একে ‘নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি’ বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছে কিছু মিডিয়া।
গাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাসের মুখপাত্র ফওজি বারহুম রয়টার্সকে বলেন, মিসর ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গ্রুপটি শান্ত পরিস্থিতিতে ফিরতে সম্মত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইল।
দেশটির এক সেনা মুখপাত্র বলেছেন, শনিবার সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় কোনো সামরিক তৎপরতা চালানো হয়নি। ফিলিস্তিনি বাসিন্দারাও বলছেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শুক্রবার গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২০১৪ সালের হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়। এর জবাবে গাজা উপত্যকাজুড়ে ১২টিরও বেশি বিমান হামলা চালায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
এ সময় মারা যান তিন হামাস সদস্যসহ চার ফিলিস্তিনি। আহত হন ১২০ জনেরও বেশি। ইসরাইলের সেনা মুখপাত্র বলেন, কয়েক ঘণ্টার অভিযানে হামাসের ৬৮টি অবস্থানে হামলা চালায় ইসরাইলি ট্যাংক।
এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা ও অজ্ঞাত এক দেশের এক কূটনীতিক হামাস ও ইসরাইলের সঙ্গে আরও ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখতে যোগাযোগ করেন। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার অস্ত্রবিরতির খবরটি নিশ্চিত হলে মিসরের মধ্যস্ততায় এটা হবে তৃতীয় চুক্তি।