একদিন পর বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার কোটি রুপি। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হবে ২ হাজার ১০০ কোটি রুপি।
সম্ভাব্য ৪৪ হাজার কোটি রুপির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনের ব্যয়, প্রার্থিদের খরচ এবং নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যয়। নির্বাচনে নিবন্ধিত মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৬০ লাখ। প্রতিটি ভোটারের পেছনে নির্বাচন কমিশন খরচ করবে ১৯৮ রুপি। আর প্রার্থীরা ২১ রুপি পর্যন্ত খরচের অনুমোদন পেয়েছেন। তবে এই ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই এই ব্যয় অনুমোদিত ব্যয়কে ছাড়িয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১০০ কোটি রুপি ব্যয় করার অনুমোদর রয়েছে প্রার্থীদের। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রার্থীরা ভোটার প্রতি ৪ হাজার ১৫১ রুপি ব্যয় করবেন।
২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয়েছিল ৪০ হাজার কোটি রুপি। সেসময়ে ভোটের পরিমাণ ছিলো ৮ কোটি ৬০ লাখ। সেসময়ে প্রতিটি ভোটারের জন্য কমিশনের বরাদ্দ ছিলো ৫৮ রুপি। এবং মোট বাজেট ছিলো ৪৭০ কোটি রুপি। প্রতি প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট ছিলো ভোটারপ্রতি ১৬ রুপি। কিন্তু সেবার ভোটার প্রতি প্রার্থীরা খরচ করেছিলেন ৪ হাজার ৬৫১ রুপি।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয়েছিল ২০াজার কোটি রুপি। সেসময়ে ভোটের পরিমাণ ছিলো ৮ কোটি ৬০ লাখ। সেসময়ে প্রতিটি ভোটারের জন্য কমিশনের বরাদ্দ ছিলো ২২ রুপি এবং মোট বাজেট ছিলো ১৮০ কোটি রুপি। প্রতি প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট ছিলো ভোটারপ্রতি ১৭ রুপি। কিন্তু সেবার ভোটার প্রতি প্রার্থীরা খরচ করেছিলেন ২ হাজার ৭৬৯ রুপি।