পাকিস্তানের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে এখন গণনা চলছে। ইতিমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
প্রথম দিকে নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ সামান্য ভোটে এগিয়ে থাকলেও সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল বেশির ভাগ আসনে এগিয়ে আছে ।
পাকিস্তানের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৪ ভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। প্রথম দিকে কিছু আসনে নওয়াজ শরীফের দল সামান্য ভোটে এগিয়ে থাকলেও সময় যত গড়িয়েছে ইমরান খানের দল ততই এগিয়ে গেছে।
জিও টিভির সর্বশেষ খবর অনুসারে, ইমরান খানের দল পিটিআই ৯৭টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন ৬২, পিপিপিপি ২৮টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৩, এমএমএ ৭টি আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছে।
নির্বাচনে মূলত পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এ তিনটি দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
সকাল ৭টা থেকেই পোলিং স্টেশনগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যদিও তার এক ঘণ্টা পর সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ইসলামাবাদ-২ আসনে নিজের নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খান। ভোট দেয়ার পর নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, ‘পিটিআইয়ের জন্য আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই না। শুধু বলব, আপনারা আপনাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসুন, ভোট দিয়ে দেশের প্রতি দায়িত্বপালন করুন।’
এই নির্বাচনকে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন উল্লেখ করেন ইমরান খান। একই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিটিআই প্রধান বলেন, আমাদের উচিত দেশের সেবা করা ও ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। আমার আনুগত্য দেশের প্রতি, সম্পদের প্রতি নয়। বাইরের শক্তি পাকিস্তানকে দুর্বল করতে চায়।
এদিকে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় ইমরান খান নির্বাচনীবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
উল্লেখ্য, এবার জাতীয় পরিষদের (এনএ) পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচন করছেন ইমরান খান। তার নির্বাচনী আসনগুলো হচ্ছে- রাজধানী ইসলামাবাদ ২, সিন্ধু প্রদেশের পূর্ব করাচি-২, পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোর-৯, খাইবার পাখতুন খাওয়া প্রদেশের বান্নু ও পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়ানওয়ালি-১।
ইসলামাবাদ-২ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি।