মালয়েশিয়ায় অবৈধদের বৈধকরন প্রক্রিয়া শেষ হলেও প্রদেশে প্রদেশে চলছে বাংলাদেশ দূতাবাসের মোবাইল ক্যাম্পিং।
দূতাবাসের এ মোবাইল ক্যাম্পেইনে সেবা নিতে ভিড় করছেন প্রবাসীরা। কেউ আসছেন পাসপোর্ট নিতে, আবার কেউ আসছেন নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে।
২৮ জুলাই মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের জর্জ টাউনে দুই দিনব্যাপী শুরু হওয়া দূতাবাসের মোবাইল ক্যাম্পেইনে প্রবাসীদের সেবা দিচ্ছেন মিশনের কর্মকর্তারা
ডেপুটি কাই কমিশনার ওয়াহিদা আহমেদের নেতৃত্বে পেনাং ক্যাম্পিং-এ প্রবাসী কর্মীদের পসপোর্ট বিতরণ করছেন পাসপোর্ট বিভাগের সহকারি সুশান্ত সরকার, দিলারা বেগম, সাজ্জাদ হোসাইন ও কিবরীয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দূতাবাসের কনস্যুলার দাতু ইসমাইল।
অনেকের অভিযোগ, সময়মত তারা পাসপোর্ট হাতে পাননি। কিন্তু দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় প্রবাসী কর্মীদের হাতে পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
ডেপুটি হাই কমিশনার বলেন, দুই বছর ধরে মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে সরকারি ছুটির দিনেও পাসপোর্ট বিতরণসহ অন্য সেবা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট আবেদনকারীর আবেদনে যদি কোনো ক্রুটি না থাকে তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগে ১৫ দিনের মধ্যেও পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।
ওয়াহিদা আহমেদ বলেন, আমরা শনি এবং রোববারও পেনাং এ পাসপোর্ট বিতরণ করছি।
সময়মতো পাসপোর্ট পাওয়াতে অনেকেই খুশি। এখন পারমিট পাওয়ার পালা। দ্রুত পাসপোর্ট প্রদানে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কাজল ও মো: সিদ্দীকুর রহমান নামে দুই প্রবাসীসহ অন্যরা।
নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে আসা মো: আশরাফুল ইসলাম ও এনায়েত বললেন দালাল ছাড়া দূতাবাসের ক্যাম্পেইনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ১১৬ রিঙ্গিত ব্যাংক ড্রাফ্ট এর মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন এবং তারা আশা করছেন নির্ধারিত সময়ে তারা পাসপোর্ট হাতে পাবেন।
এদিকে, মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি শ্রম বিভাগের কর্মকর্তারা বন্ধের দিনেও পরিদর্শন করছেন দেশটির বিভিন্ন ক্যাম্প।