ঢাকা অফিস: বাংলাদেশে নারী ও বালিকাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছে। বুধবার যশোরে নিউজ নেটওয়ার্কের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘রিজিওনাল প্রজেক্ট স্টার্ট- আপ ওয়ার্কসপে’ বক্তারা এ দাবি তুলে ধরেন। কর্মশালায় যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সিভিল সোসাইটি ও এনজিও প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা অংশ নেন।
বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কসপে নিউজ নেটওয়ার্কের প্রধান সম্পাদক শহীদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট রেজাউল করিম, যশোরের সমন্বয়কারী ইত্তেফাক’র স্টাফ রিপোর্টার ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্
ডিফেন্ডারস্ ফোরাম (বিএইচআরডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, যশোর কমিটির সভাপতি হাসিব নেওয়াজ, নিউজ নেটওয়ার্কের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা কমিটির সাধারণ সম্পাদক
ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম. কামারুজ্জামান, যশোর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ রায়, কোষাধ্যক্ষ তহমিনা বিশ্বাস। আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, নিউজ নেটওয়ার্কের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা ককার্স সদস্য অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক, যশোরের সাংবাদিক ইকরাম-উদ-দৌলা, প্রথম আলোর মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ নাজমুল আলম মুন্না, সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার ঝুমুর, মাওলানা শাখাওয়াত উল্যাহ, সাংবাদিক সুমন মুখার্জী,
সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না, যশোরের এনজিও সংগঠক বীথিকা সরকার, যশোরের সাংবাদিক সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। কর্মশালায় জানানো হয় নারীদের জন্য বিশ্বের ১০টি ভয়ঙ্কর নগরীর মধ্যে ঢাকা সপ্তম। ২০১৫ সালে প্রতি পাঁচজন নারীর একজন বা ৮০ শতাংশ
বাংলাদেশি নারী কোনো না কোনো সহিংসতার শিকার হন। কর্মশালায় বক্তারা আরো বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও বালিকারা সবচেয়ে বেশি সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন। অথচ বিচারের জন্য ঢাকাতে একমাত্র সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। সারা বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত যে ঘটনা ঘটে তার বিচার পেতে হলে ওই ট্রাইব্যুনালেই তাকে যেতে হয়। অথচ যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই নিম্মবৃত্ত বা দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। তাদের পক্ষে ঢাকাতে গিয়ে ন্যায় বিচার পাওয়া বা ন্যায় বিচার চাওয়া কতটা সম্ভব সরকারকে তা ভেবে দেখা উচিত। বক্তারা
প্রতিটি জেলায় একটি করে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জোর দাবি জানান।