বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-আন্দোলন সপ্তম দিনে গড়াচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে ছাত্র-ধর্মঘট ঘোষণা করেছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শুক্রবার বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সই করা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ঢাকার মিরপুর, দনিয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে ছাত্রধর্মঘট ঘোষণা করা হলো।
আরও বলা হয়, সরকারকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয় দফা, হামলাকারীদের বিচার এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন দফা দাবিতে মেনে নিয়ে অতি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানাই। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই ধর্মঘট কর্মসূচিতে দেশের সব সচেতন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও নাগরিকদের অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে, আজ ষষ্ঠ দিনের মতো ঢাকা ছিল কার্যত অচল। রাজধানীতে ছিল গণপরিবহনের তীব্র সঙ্কট। ঢাকার রাস্তায় দু-একটি বাস ছাড়া কোনো গাড়ি দেখা যায়নি। রাজধানীর কিছুস্থানে গাড়ি চলাচলে পরিবহন শ্রমিকদেরও বাধা দিতে দেখা গেছে। এসব কারণে আজ শুক্রবার ছুটির দিনেও বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যাত্রীবাহী বাস নেই বললেই চলে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করছে। তবে এ জন্য যাত্রীকে পরিশোধ করতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এমনকি রাইড শেয়ারিংয়ে চলাচলকারী মোটর সাইকেলের চালকরাও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসচালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এই ঘটনার পর নয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।