logo
আপডেট : 5 August, 2018 19:31
তুর্কি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘রশ্মিহীন স্ক্রিন’ আবিষ্কার
মেইল রিপোর্ট

তুর্কি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘রশ্মিহীন স্ক্রিন’ আবিষ্কার

টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল বা ইলেক্ট্রিক যন্ত্রের স্ক্রিন থেকে বের হওয়া আলোকরশ্মি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির বলে বহু গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ প্রতি দিন ইলেকট্রিক যন্ত্রের স্ট্রিন ব্যবহার করে থাকে। ফলে নানাভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

মানুষের এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিশেষ ধরণের স্ক্রিন আবিষ্কার করেছে। নতুন এ স্ক্রিন দিয়ে কোনো আলোকরশ্মী নির্গমণ হয় না। অর্থাৎ সাধারণ স্ক্রিনের মতোই সবকিছু দেখা বা কাজ করা যাবে কিন্তু সেখান থেকে কোনো রশ্মীর বের হবে না।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রযুক্তি কোম্পানি 'এসেলসান' গ্রাফিন দিতে এ ওএলইডি স্ক্রিন তৈরি করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদলু এজেন্সি।

এসেলসানের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এলেসসান এ বিষয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে; যার নাম ‘এলমাস’। সাবান্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোটেকনোলজি রিসার্স ও এপ্লিকেশন সেন্টারে এ গবেষণার কাজ পরিচালিত হয়েছে।

তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সাবান্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইসমত কেয়া বার্লিনের ইউরো ডিসপ্লে কনফারেন্সে এই গ্রাফিন ভিত্তিক ওএলইডি পর্দা প্রদর্শন করেন।

ওই প্রদর্শনের পর জার্নাল অফ ইনফরমেশন ডিসপ্লে সোসাইটি তুরস্কের এই গবেষণা ফলাফল নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।

নতুন এই স্ক্রিন ছোট বা বড় যেকোন আকৃতিতে তৈরি করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া তাপমাত্রা সংবেদনশীল কাজে ও বিমান তৈরিতে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

এসেলসান জানয়েছে যে, স্বচ্ছ, নমনীয়, হালকা ও বহনযোগ্য এই গ্রাফিন ভিত্তিক স্ক্রিন প্রতিরক্ষা ও অসামরিক নানান সমস্যার সমাধান দিবে।

গ্রাফিন ২০০৪ সালে আবিস্কার হয় এবং এর গবেষকবৃন্দ ২০১০ সালে পদার্থে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৭৫ সালে গঠিত এসেলসান কোম্পানি তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন বৈদ্যুতিক প্রযুক্তি আবিষ্কার করে আসছে।