কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক ছাত্রী মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জিকে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর এ সঙ্গেই নতুন নজির সৃষ্টি হল শীর্ষ আদালতে।
কারণ এই সময়ে তাকে নিয়ে মোট তিনজন মহিলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিসেবে থাকছেন।
তারা হলেন, বিচারপতি আর ভানুমতী, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র ও বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি। তবে একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, সর্বোচ্চ আদালতে মহিলা বিচারপতির সংখ্যা এত কম কেন? কারণ সেখানে ২২ জন পুরুষ বিচারপতি রয়েছেন।
সুপ্রিমকোর্টের ইতিহাসে মোট সাত জন মহিলা বিচারপতি এসেছেন। কিন্তু গত ৬৮ বছরে একসঙ্গে তিনজন মহিলা বিচারপতি কখনও থাকেননি। তাই বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকে একে ‘ইতিহাস’ হিসেবে তুলে ধরছেন।
শুধু তিনিই নন, কলেজিয়ামের প্রস্তাব মেনে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিনীত শরণ এবং উত্তরাখন্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কেএম জোসেফকেও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি করা হয়েছে। তিন জনই ৭ আগস্ট শপথ নেবেন।
শনিবার সুপ্রিমকোর্টের তিন বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয় সবুজ সঙ্কেত দেয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে চলা জটিলতাও শেষ হয়েছে। বিচারপতি কেএম জোসেফের নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র ও বিচার ব্যবস্থার মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। কারণ কলেজিয়াম তার নাম পাঠালেও প্রথমে তা ফেরত পাঠায় কেন্দ্র।
পরে বাকি দুই বিচারপতির সঙ্গে বিচারপতি কেএম জোসেফের নামও পাঠানো হয়। এবার তা মেনে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে কলেজিয়াম সবার আগে নাম পাঠালেও শপথের বিজ্ঞপ্তিতে বিচারপতি কেএম জোসেফের নাম সবার শেষে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি সবচেয়ে জুনিয়র বিচারপতি হিসেবেই যোগ দেবেন তিনি?