ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে পর্যটন দ্বীপ বালি ও লোম্বকে কমপক্ষে ৮২ জন নিহত হয়েছেন। রোববারের ওই ভূমিকম্পের পর সাময়িক সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান, ফক্স৮-এর।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় লোম্বক দ্বীপে এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ভয়াবহতম ভূমিকম্প। এর আগে ২৯ জুলাই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল লোম্বক দ্বীপ। তখন এক ডজনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পে আরও প্রায় একশ জন আহত হয়েছেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ নিরসন এজেন্সি জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এদিকে সোমবার সকালে কমপক্ষে একশ ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ নিরসন এজেন্সির মুখপাত্র সুতোপো পুরউয়ো নুগরোহো বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জন হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। এর আগে কর্মকর্তারা ৩৯ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন।
নুগরোহো বলেন, হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ধসে পড়া ভবনের আঘাতে অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) প্রথমে জানিয়েছিল যে, রোববারের ওই ভূমিকম্প ৭ মাত্রার ছিল। কিন্তু পরে তারা জানায় এটি ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ছিল। ইউএসজিএস জানাচ্ছে, শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর ৫ দশমিক ৪ মাত্রা থেকে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার আরও বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ইন্দোনেশিয়ার সুনামি পূর্ব সতর্কতা সিস্টেম সতর্কতা জারি করে কিন্তু পরে তা তুলে নেয়া হয়।
বালিতে একজন অস্ট্রেলিয়ান পর্যটক মিশেল লিন্ডসে বলেন, হোটেলের সব অতিথি দৌড়াতে শুরু করলে আমিও তাদের সঙ্গে দৌড়াতে থাকি। এসময় কর্মকর্তারা ভীত না হতে মানুষজনের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে ভূমিকম্প কেন্দ্রের নিকটবর্তী লোম্বকের তানজুং ল্যান্ডলাইন ফোন ও মোবাইল ফোনের সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।