শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার লমবোক দ্বীপ। পর্যটনের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এ দ্বীপে গত রোববারের ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৭ জন মানুষ। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।
এক সপ্তাহ আগে দ্বীপটিকে কাঁপিয়ে দেওয়ার পর গত রোববার (৫ আগস্ট) ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয় লমবোকে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭। এরপর সুনামি সর্তকতাও জারি করা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলেছে, দ্বীপের প্রায় ৮০ শতাংশ ভবনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু কিছু ভবন একেবারে ধসেই গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যেতে পারছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুর্বো নুগ্রহ বলেন, পুরো দ্বীপটি যেন ধ্বংসস্তূপে পণিত হয়েছে। সেজন্য ভূমিকম্পের তিনদিন গড়ালেও এখনো জনমনের ভীতি-শঙ্কা কাটেনি। লমবোকের উত্তরাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। উদ্ধারকর্মীরা তাঁবু গেড়ে বাস্তুহারাদের মাথা গোঁজার জায়গা করে দিচ্ছেন। দিচ্ছেন স্বাস্থ্য সেবাও।
ভূমিকম্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখানকার প্রধান অঞ্চল মাতারামের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। মেডিকেল স্টাফরা ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতালেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হতাহতের সংখ্যা যেটা জানা গেছে, আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয়রা আরও বলছেন, এ ভূমিকম্পটি গত সপ্তাহের ভূমিকম্পের চেয়ে প্রবল। গত সপ্তাহে লমবোকেই আঘাত হানা ভূমিকম্পে ১৬ জনের প্রাণহানি হয়।