চীনের সঙ্গে পুরোদমে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্কারোপের লক্ষ্যে নতুন করে বেইজিংয়ের আরও ২৭৯টি পণ্যের তালিকা প্রস্তুত করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন বাণিজ্য দূতের কার্যালয় থেকে ৪৬ দিনের জনমত ও পর্যালোচনা শেষে মূল তালিকা করা হয়েছে।
তালিকা থেকে অনেক পণ্যের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটাইজার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে তাদের প্রায় ১ হাজার ১০২টি পণ্য লক্ষ্য করে শুল্ক বসানো হয়।
চলতি বছরের জুনে ৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শতকরা ২৫ ভাগ শুল্কারোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২৩ আগস্ট থেকে এ শুল্কারোপ পুরোপুরি কার্যকর হবে। বুধবার এ খবর জানিয়েছে এএফপি।
ইতিমধ্যে চীনের ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক চলতি বছরের ৬ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। মার্কিন কোম্পানিগুলোর উদ্বেগের কারণে অবশিষ্ট ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যের শুল্ক স্থগিত করা হয়। ২৩ আগস্ট থেকে সেটাই কার্যকর হবে।
নিজেদের পণ্যে শুল্কারোপের ইতিমধ্যে পাল্টা জবাবও দিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ৫ হাজার ডলারের পণ্যের ওপর সমান হারে শুল্কারোপ করেছে তারা। চীনের অভিযোগ, ট্রাম্পের নেয়া পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মাবলীর লঙ্ঘন।
চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের ইস্পাত আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প। শিগগিরই তা কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।
আমদানি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন দেখা দেয়। সর্বশেষ ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের তালিকায় চীনের আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও এসব পণ্যের মূল কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি হয়।
মার্কিন বাণিজ্য দূতের কার্যালয় বলেছে, ‘মেড ইন চায়না’ শিল্প পরিকল্পনার সুবিধা নিয়ে চীন প্রতিযোগিতামূলক উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তাই চীনের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্লাস্টিক, রাসায়নিক ও রেলওয়ে যন্ত্রপাতির ওপর ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে।