logo
আপডেট : 11 August, 2018 02:33
তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দ্বিগুণ শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের
মেইল রিপোর্ট

তুরস্কের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দ্বিগুণ শুল্কারোপ যুক্তরাষ্ট্রের

ফাইল ছবি

ধুঁকতে থাকা তুরস্কের লিরা ওপর চাপ বাড়িয়ে দিতে দেশটির স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দ্বিগুণ শুল্কারোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের শক্তিশালী ডলারের’ বিপরীতে তাদের মুদ্রা খুব দুর্বল হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো নয়। 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান এক ভাষণে বলেছেন, বিদেশি শক্তির ‘প্রচারণার’ কারণেই তাদের মুদ্রার মান পড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০ ভাগ মূল্যমান পড়ে গেছে তুরস্কের মুদ্রার। এর আগে গেল বছর লিরার মূল্যমান ৪০ ভাগের বেশি পড়ে গেছে।

শুক্রবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এটিকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ উল্লেখ করে দেশটির নাগরিকদের লিরার বিনিময় মূল্য হিসেবে বিদেশি মুদ্রা ও সোনা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি তাদের ডলার থাকে, তাহলে আমাদের আছে মানুষ, আমাদের আছে আল্লাহ। এটি নিজস্ব এবং জাতীয় সংগ্রাম।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের ওই ভাষণের পরই টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেন, ‘তুরস্কের ক্ষেত্রে’ অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২০ শতাংশ ও স্টিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে।

ন্যাটোভুক্ত এই দুই দেশের লড়াইয়ে গত ১৩ মাসের মধ্যে দরপতন পতন ঘটেছে ইউরোর যেখানে শক্তিশালী হয়েছে ডলার। এদিকে প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের ওই টুইটের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এরদোয়ান।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উভয় নেতা তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার ‘ইতিবাচক’ সম্পর্ক নিয়ে ‘সন্তোষ প্রকাশ’ করেছেন।

মূলত ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ওইসময় নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি এবং গুলেনিস্ট মুভমেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তুরস্কের একটি চার্চের মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রুনসনকে কারাগারে পাঠায় কর্তৃপক্ষ।

এরই জবাবে গেল সপ্তাহে তুরস্কের বিচার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর অবরোধ আরোপ করে হোয়াইট হাউজ। অবস্থার উত্তরণে তুরস্কের কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন সফর করে। কিন্তু উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়।