যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতা ভাঙ্গার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের মিত্রতা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে নতুন মিত্র খোঁজা শুরু করতে পারে।
শুক্রবার তুরস্কের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দ্বিগুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ওই ঘোষণার পরপর ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার ১৬ শতাংশ দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন যাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রানসনকে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগে তুরস্কের আটকসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সম্প্রতি ন্যাটোভুক্ত দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করেছে। দুই দেশের এই টানপোড়েন তুর্কির মুদ্রা বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। গত বছর ডলারের বিপরীতে লিরার ৪০ শতাংশ দরপতন ঘটেছিল। সর্বশেষ শুক্রবার লিরার ১৬ শতাংশ দরপতন হয়।
শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এরদোগান তুর্কি নাগরিকদের লিরার সঙ্গে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ বিনিময়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন। মুদ্রার দরপতনকে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটি ঘরোয়া ও জাতীয় লড়াই। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের সুরক্ষায় কিছু দেশ এমন আচরণে লিপ্ত হয়েছে যে তারা আইন কিংবা বিচার মানে না।’
এরদোগানের এই ভাষণের পরপরই টুইটারে তুর্কি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা নিবন্ধে এরদোগান ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের ঝুঁকিতে না যায়। তা না হলে তুরস্ক নতুন মিত্র ও বন্ধু খুঁজতে শুরু করবে।
তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান না দেখানো পর্যন্ত এবং আমাদের দেশ যে ঝুঁকি মোকাবেলা করছে তা বুঝতে পারা প্রমাণ না করতে পারলে আমাদের অংশীদারিত্ব ঝুঁকির মুখে পড়বে।’