৩৭ বছর বয়সী জাসিন্ডা আরডার্ন নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। গত বছর অক্টোবরে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার দল লেবার পার্টি নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ছোট দল ফার্স্ট পার্টির নেতা উইনস্টন পিটার্সের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন তিনি।
এ বছরের জানুয়ারিতে জাসিন্ডা জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি তিনি প্রথম বুঝতে পারেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র ছয় দিন আগে।
গত ২১ জুন এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জেসিন্ডা। নাম রাখেন নেভে। সন্তান জন্মদানের পর ছয় সপ্তাহের ছুটিতে চলে যান জাসিন্ডা। তার অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স। তবে ছুটিকালীন মন্ত্রিসভার নথিপত্র পড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ সপ্তাহে তার ছুটি শেষ হয়।
শনিবার (৪ আগস্ট) জীবনসঙ্গী ক্লার্কে গেফোর্ড ও মেয়েকে নিয়ে ওয়েলিংটন বিমানবন্দরে পৌঁছান নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়। এসময় সাংবাদিকদেরকে জাসিন্ডা জানান, নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাসভবনকে শিশু-বান্ধব করে তুলতে আগামী কয়েকদিন তার পরিবার ব্যস্ত থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এ বাড়িতে এতো ছোট বাচ্চা এটাই প্রথম। নেভের জন্য আমাদের বন্ধুরা যে পুরনো আসবাবপত্র দিয়েছে, তা এক জায়গায় জড়ো করছি আমরা। এটি একটি পুরনো বাড়ি, কিন্তু তা খুব উষ্ণ।’
এর আগে এই সপ্তাহেই সংবাদমাধ্যমকে জাসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছিলেন, জীবনসঙ্গী গেফোর্ড এখন পূর্ণকালীন বাবার ভূমিকা পালন করতে নেভের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম। এ জন্য তার সুবিধা হয়েছে। ওয়েলিংটনে ঘর গোছাতে পরিবারকে আগামী কয়েক সপ্তাহ ব্যস্ত থাকতে হবে। তবে সোমবার (৬ আগস্ট) থেকেই প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্বগ্রহণ করতে যাচ্ছেন জাসিন্ডা।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ছয় সপ্তাহের ছুটি চলাকালীন তার সরকারের কাজকর্ম ধীর গতিতে চললেও তা একেবারে নির্ঝঞ্চাট ছিল না। বাণিজ্য খাতে প্রত্যাশার মাত্রা ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ছিল। নার্সরা ধর্মঘট ডেকেছে, অভিবাসী বিতাড়ন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েছে। এ সপ্তাহেই পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিরোধী রাজনীতিবিদরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।