logo
আপডেট : 14 August, 2018 00:47
সূর্য ছোঁয়ার মিশনে নাসার মহাকাশযান
মেইল রিপোর্ট

সূর্য ছোঁয়ার মিশনে নাসার মহাকাশযান

আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে সূর্যের খুব কাছে পৌঁছাতে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তার মিশন শুরু করেছে। সূর্যকে ছোঁয়ার অভিযানে রওনা দিয়েছে মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব।

রোববার স্থানীয় সময় ০৩:৩১ টায় (জিএমটি ০৭:৩১) ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ডেলটা-ফোর হেভি রকেটে করে উত্ক্ষেপণ করা হয় যানটিকে। এর আগে শনিবার সকালে এটি উৎক্ষেপণ করার কথা থাকলেও সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এই পার্কার সোলার প্রোব মানব ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগামী যানের আখ্যা পেতে যাচ্ছে।

ছোট্ট গাড়ির আকারের এ যান যাত্রা শেষে সূর্যের অনেক কাছে পৌঁছবে। সূর্যের বহিরাবরণ করোনার ভেতর দিয়ে যাবে যানটি। মানুষের তৈরি কোনো যান সূর্যের এত কাছে এখনো পৌঁছতে পারেনি।

এজন্যই এ অভিযানকে বলা হচ্ছে সূর্য ছোয়াঁর মিশন বা টাচ দ্য সান। এছাড়া এই প্রথম কোনো জীবিত ব্যক্তির নামে মহাকাশযান পাঠাল নাসা। যানটির নামকরণ করা হয়েছে এস্ট্রোফিজিসিস্ট ইউজিন পার্কারের নামে। ৯১ বছর বয়সী পার্কার ১৯৫৮ সালে প্রথম সৌর বাতাস সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন।

সূর্যের ইতিহাস জানতে হলে সূর্য সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা জরুরি। এদিক থেকে পার্কার সোলার প্রোবের মিশনটি গুরুত্বপূর্ণ। নভোযানটিতে সূর্যকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করার যন্ত্র রয়েছে।

সোলার উইন্ড প্রবাহের রহস্য ভেদ করা এবং সূর্যকে ঘিরে থাকা গ্যাসের তীব্র তাপমাত্রার রহস্য উন্মোচন করাও এ অভিযানের লক্ষ্য।

এদিকে উচ্ছ্বসিত ইউজিন পার্কার বলেন, ওয়াও, আমরা যাচ্ছি! আগামী অনেক বছর জন্য এ যাত্রা থেকে আমরা জ্ঞানার্জন করতে যাচ্ছি।

নিজের চোখে মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ দেখেছেন তিনি।

রোববার উৎক্ষেপণের ঘণ্টাখানেক পর নাসা কর্তৃপক্ষ মাহাকাশযানটি সফলভাবে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশে রওনা হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।

সাত বছর ধরে সূর্যকে ঘণ্টায় ৬৯০,০০০ কিলোমিটার গতিতে ২৪ বার প্রদক্ষিণ করে গবেষণা চালাবে পার্কার প্রোব। সূর্যপৃষ্ঠের ৬১ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে এটি।