ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারির আওতায় ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত জেটের মালিককে তদন্তের আওতায় আনতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ জানান, মিলিওনার লো তেইক জো’কে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের তদন্তের অধীনে আনা হবে।
মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস জানায়, ধনাঢ্য জো লো ২০১০ সালে ওয়ানএমডিবির তহবিল ব্যবহার করে বমবাডিয়ার গ্লোবাল ৫০০ জেট ৩৫.৪ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিলেন। মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ কিভাবে ব্যাংকটির কোটি কোটি ডলার উধাও হল তা সম্মিলিতভাবে তদন্ত করে।
ডিওজি জানায়, ‘ব্যাংকের তহবিলের ৪.৫ বিলিয়ন ডলার অপব্যবহার করা হয়েছে, এর মধ্যে কিছু টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত বিমান, একটি প্রমোদতরী, পিকাসোর ছবি, গহনা এবং রিয়েট এস্টেট ক্রয় করা হয়।
ডিওজি জানায়, জো লো এছাড়াও ২৫০ মিলিয়ন ডলারে একটি প্রমোদতরী কিনেছে। যা ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ার কাছে হস্তান্তর করে। সিঙ্গাপুরে থাকা জেটটিও জব্দকৃত সম্পদের আওতায় মালয়েশিয়ার ফিরিয়ে আনবে দেশটির সরকার। লো’র ওপর গ্রেপ্তারি পরেয়ানি জারি করেছে মালয়েশিয়া। তবে লোর মুখপাত্র প্রমোদতরী হস্তান্তরকে ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন আদালতের আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দায়ের করা মামলায় ডিওজি ওয়ানএমডিবির আত্মসাৎ করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা, এবং সম্পদ জব্দ করতে কাজ করছে।