জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস আজ আগস্ট। তার একদিন আগেই শিল্পীদের রঙতুলিতে মূর্ত হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
৪৩তম শাহাদতবার্ষিকীতে তার ৪৩ ফুট উচ্চতার একটি প্রতিকৃতি উন্মোচিত হল ঢাকায়।
শুধু আকারে বড় নয়, এটি সর্ববৃহৎও। দেড়শ শিল্পীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ৩০ জন শিল্পীর রঙতুলির ছোঁয়ায় অঙ্কিত হয়েছে এ প্রতিকৃতি। শিল্পীরা ১৫ দিন ধরে নিরলস পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে এ বিশাল কর্মযজ্ঞটি সম্পাদন করেছেন। জাতির পিতার সর্ববৃহৎ এ প্রতিকৃতি অঙ্কনের কর্মসূচি হাতে নেয় বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার পর থেকেই দৃশ্যমান হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি।
যার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী হাশেম খান, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি অধ্যাপক জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর এত বিশাল এ প্রতিকৃতি দেখে মনটা ভালো লাগায় ভরে গেল। এর সামনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু আমাকে পেছন থেকে ডাকছেন। তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু দেশকে, দেশের সংস্কৃতিকে ভালোবাসতেন, সারাজীবন সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন সে দিনে খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করেন। তার বোঝা উচিত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু গেলে সবাই তার দিকে নজর রাখতেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নন, সারা বিশ্বের নেতা। শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সূর্যের মতোই সত্য। এই আয়োজনে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।